শেবাচিমে ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে হৃদরোগীদের বিনামূল্যের ওষুধ সরবরাহ ! Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ০১:০৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে: মাহফুজ আলম ফুটবলের লড়াইয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, এবার ক্রিকেটে মালয়েশিয়া ও কেম্যান আইল্যান্ডসে শেখ হাসিনার সম্পদের সন্ধান বরিশালে নৌপুলিশের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত গ্রেপ্তার কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় গ্রেফতার ২ আগামী জাতীয় নির্বাচনে সহায়তা করতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক পাচারকৃত টাকা উদ্ধারে টাস্কফোর্স কাজ করছে: প্রেস সচিব পটুয়াখালীতে ডাকাতির চেষ্টাকালে দুই যুবক আটক নলছিটি থেকে বরিশালে যাবার পথে যুবককে কুপিয়ে টাকা ছিনতাই জুলাই অভূত্থ্যানে শহীদ সেলিমের সন্তান ‘রোজা’র পাশে জেলা প্রশাসন




শেবাচিমে ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে হৃদরোগীদের বিনামূল্যের ওষুধ সরবরাহ !

শেবাচিমে ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে হৃদরোগীদের বিনামূল্যের ওষুধ সরবরাহ !

শেবাচিমে ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে হৃদরোগীদের বিনামূল্যের ওষুধ সরবরাহ !




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেয়া রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ স্ট্রেপটোকিনাস ও এক্সাপেরিন সরবরাহ। ৫ হাজার টাকা করে প্রতিটি ইনজেকশনের দাম হওয়ায় অসহায় রোগীরা রয়েছে চরম ভোগান্তিতে। প্রায় তিন মাস ধরে আপদকালীন ভান্ডারের ওষুধ সরবরাহও বন্ধ রয়েছে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ পেলে রোগীদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হলেও কবে নাগাদ ওষুধ পাওয়া যাবে তা জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

 

সূত্রমতে, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আধুনিক হৃদরোগ বিভাগ চালু হয় ২০১১ সালে। এই ওয়ার্ডে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তির পর প্রথম ১২ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে সরবরাহ দেওয়া হতো স্ট্রেপটোকিনাস (ঝঃৎবঢ়ঃড়শরহধংব) নামে একটি ইনজেকশন। জরুরি এই ইনজেকশনের একটির মূল্য ৫ হাজার টাকা এবং আরেকটির মূল্য ৫০০ টাকা। একই সাথে রোগীকে এক্সাপেরিন (ঊহড়ীধঢ়বৎরহ) নামে দুটি ইনজেকশন দেওয়া হতো। যার বাজার মূল্য ৫০০ টাকা করে মোট ১ হাজার টাকা। এতে আর্থিকভাবে উপকার পেত দরিদ্র রোগীরা। কিন্তু গত বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয়ভাবে মূল্যবান এসব ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরবরাহ বন্ধের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দরিদ্র রোগীদের অসহায়ত্ব বিবেচনায় আপদকালীন সংগ্রহ থেকে রোগীদের বিনামূল্যে ওই ওষুধ সরবরাহ করতো। কিন্তু গত বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে আপদকালীন সরবরাহ থেকে মূল্যবান ওই ওষুধ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। এতে হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন দরিদ্র রোগীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। সময় মতো জীবন রক্ষাকারী জরুরি ওষুধ না পেয়ে বিপন্ন হয়ে পড়ছে চিকিৎসাধীন রোগীদের জীবন।

 

 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর আগে ১০ শয্যা দিয়ে শুরু করা শেবাচিমের হৃদরোগ বিভাগে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যা না বাড়লেও গড়ে এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি থাকে ৬৫ জন। কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, প্রতিমাসে এই ওয়ার্ডে রোগী মৃত্যুর হার ৮ থেকে ১০ ভাগ। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর বেঁচে থাকার জন্য ওষুধের যোগান দিতে গিয়ে হাফিয়ে উঠেছে তাদের স্বজনরা। তাদের দাবি, হাসপাতাল থেকে জ্বর আর গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দেওয়া হয়। অন্য সব মূল্যবান ওষুধ নিজেদের টাকায় কিনতে হয়।

 

 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু জীবন রক্ষাকারী জরুরি এসব ওষুধ কেন্দ্র থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেগুলো রোগীদের দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ পেলে রোগীদের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে। ওই ওষুধ সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। তবে কবে নাগাদ ওষুধ সরবরাহ পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত বলতে পারেননি তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD